ড্রাই_ফ্রুটস এমন অনেক ফল আছে যেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় খাওয়ার পাশাপাশি শুকিয়েও খাওয়া যায়। শুকনো এসব ফল ও বাদাই সাধারণত ‘ড্রাই ফ্রুটস’ নামে পরিচিত। আমাদের দেশে, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তা বাদাম, চীনা বাদাম, খেজুর, তীন ফল ও কিসমিস সবচেয়ে জনপ্রিয় ড্রাই ফ্রুটস। আর ছোট বড় এমন কেউ নেই যে এই ড্রাই ফ্রুটস পছন্দ করেনা। আমাদের Health & Nutrition সব গুলো ড্রাই ফ্রুটসই পাবেন প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এবং রিজনেবল দামে।
এগুলো আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন সহ প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেলস ও এসেন্সিয়াল ফ্যাট বিদ্যমান। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু ফল। এর মধ্যে, সকল প্রকারের বাদাম গুলো আবার কিটো ডায়েট করার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
এই সব ড্রাই ফ্রুটস এর প্রচুর উপকারিতা আছে, যা এক পোস্টে বলে শেষ করা যাবে না। তবে কিছু গুনাগুন উল্লেখ না করলেই নয়:
#কাজুবাদাম: কাজুবাদাম প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও মিনারেলস এ ভরপুর একটি পুষ্টিকর সুস্বাদু খাদ্য। এটি অন্যান্য বাদাম থেকে খেতে সুস্বাদু।
কাজু বাদামের উপকারিতা:
কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার, মাইগ্রেন এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ ব্যবস্থা গড়ে তােলে।
প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা জিঙ্ক, ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
নানাবিধ হার্টের রোগ থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা বাড় প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিয়মিত এই বাদাম খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
চুলের স্বাস্থ্য ভালাে রাখে ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে,
ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
#কাঠবাদাম: কাঠবাদামে আছে অত্যাবশ্যক ফ্যাটি এসিড, ফাইবার এবং প্রোটিন।
কাঠবাদামের উপকারিতা:
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিকারী এবং রক্ত প্রবাহ বাড়াতেও পারদর্শী।
হাড় গঠন ও মজবুত করে যৌবন ধরে রাখে।
কাঠ বাদাম প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়।
কোলেস্টেরল লেভেল স্বাভাবিক রাখে।
মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়।
খুদা কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণকরে।
শরীরে ফুসফুস এবং স্তন ক্যান্সার সৃষ্টি হতে বাধা দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
#আখরোট: আখরোট মস্তিষ্কের খাবার হিসাবে পরিচিত। মস্তিষ্কের ৬৯% ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড দিয়ে গঠিত, যা আখরোটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়াও আখরোটে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও মিনারেলস বিদ্যমান। ব্রেইন ডেভলপমেন্ট এর জন্য অন্য সকল বাদামের থেকে এটি ভালো।
আখরোটের উপকারিতা:
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে।
রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
এতে থাকা ভিটামিন বি-সেভেন চুলের গোড়ালি শক্ত করে ও চুল পরা রোধ করে।
হৃদরোগ ও টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
শরীরকে ক্যান্সার মুক্তো রাখতে সাহায্য করে।
পুরুষের শরীরে শুক্র কোষের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ও যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ডিপ্রেশন ও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
#পেস্তা_বাদাম: প্রোটিন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়ামের দারুণ উৎস হচ্ছে পেস্তা বাদাম। এদিকে এতে ফ্যাটের পরিমাণ পণ্য বাদামের চাইতে অনেকটাই কম।
পেস্তা বাদামের উপকারিতা:
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে
অকাল বার্ধক্য রোধ করে।
ত্বকের ক্যান্সার রোধে কাজ করে।
রক্তের শর্করা কমায় ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যও করে।
হজমে সাহায্য করে।
হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে।
শরীরে ফাইবার ও প্রোটিন সরবরাহ করে।
কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ফলে পেস্তা বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে কার্যকর।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান বাদাম খেলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়।
অন্য সকম বাদামের চাইতে পেস্তায় রয়েছে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোস্টেরল।
এতে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
দাঁতের রোগ ও লিভারের সমস্যায় পেস্তাবাদাম বেশ উপকারী। পেস্তা বাদাম রক্ত শুদ্ধ করে।
#চীনা_বাদাম: এই বাদমটি আমাদের দেশেই প্রচুর পরিমানে উৎপন্ন হয় তাই, এটি দামেও সস্তা। কিন্তু পুষ্টি গুণের দিক দিয়ে অন্যান্য বাদামের মতোই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। চীনা বাদামের কিছু উপকারিতা,
চীনা বাদামের উপকারিতা:
কোলেস্টেরল, মাইগ্রেন এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
নানাবিধ হার্টের রোগ থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
উপকারী চর্বির ভালো উৎস।
উচ্চমাত্রার আমিষের উৎস।
পাকস্থলী ক্যান্সার রোধ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ত্বক উজ্জ্বল করে।
চুলের পুষ্টি জোগায়।
হাড়ের ক্ষয় রোগ বন্ধ করে।
#খেজুর: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি ফল, তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও আমাদের নবী (স:) ও খেজুর খুব পছন্দ করতেন।
খেজুরের উপকারিতা:
রক্তাল্পতা দূর করার দারুণ এক উৎস খেজুর।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস করে। হার্ট
সুস্থ্য রাখে।
খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড় শক্ত করে।
হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি অন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা দূর করে।
যেকোনো ধরনের অ্যালার্জি বা চুলকানি দূর করতে করতে সহায়তা করে।
খেজুর শক্তিবর্ধক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ডায়রিয়া-জাতীয় সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর।
#ত্বীনফল – ত্বীনফল এ আছে, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন A, K, দ্রবীভূত ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কপার ইত্যাদি।
ত্বীনফলের উপকারিতা:
হৃদপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে।
রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে।
দেহের আয়নিক ব্যালেন্স ঠিক রাখতে।
চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে।
ক্যান্সার ঝুকি কমাতে।
#কিসমিস: কিসমিস ভিটামিন এ-এর উৎকৃষ্ট উৎস, কিসমিসে থাকা রেসভেরাট্রোল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে হয়ে যাওয়ার গতিকে ধীর করে দেয়। কিসমিসে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনে ভরপুর।
কিসমিসের উপকারিতা:
দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে।
রক্তাল্পতায় দূর করে।
কিসমিস দাঁতের ক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে
ক্যাভিটিস দূরে রাখে।
শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে।
শরীর বিশমুক্ত রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
আমাদের কাছে বর্তমানে পাচ্ছেন,
১. কাজু বাদাম – Non Roasted Cashew Nut
২. ভাঁজা কাজু বাদাম – Roasted Cashew Nut
৩. কাঠ বাদাম – Almond Nut
৪. আখরোট – Walnut
৫. পেস্তা বাদাম – Pistachio
৬. চিনা বাদাম – Peanut
৭. ভাঁজা চীনা বাদাম – Roasted Peanut (Unsalted)
৮. অজওয়া খেজুর – Ajwa Dates
৯. মেজদুল খেজুর – Mejdul Dates
১০. মরিয়াম খেজুর – Mariyam Dates
১১. তীন ফল – Teen Fruits
১২. কালো কিসমিস – Black Raisin
১৩. গোল্ডেন কিসমিস – Golden Raisins
★★★ আমাদের সব গুলো বাদাম ও খেজুর প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এবং বড় সাইজের।
কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার, মাইগ্রেন এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
Reviews
There are no reviews yet.